ঢাকাশুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণের কিস্তি স্থগিতের আহ্বান ত্রাণমন্ত্রীর

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭ , ০৯:১৮ এএম


loading/img

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণের কিস্তি এক বছরের জন্য স্থগিত বা ক্ষেত্র বিশেষে মওকুফ করতে এনজিওদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

বিজ্ঞাপন

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, বন্যা-প্রবণ এলাকার অতি দরিদ্র এবং নদী-ভাঙন কবলিত মানুষের জন্য সরকারি উদ্যোগে ঘর নির্মাণ করা হবে। বন্যার পানি নেমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

বন্যাপ্লাবিত উত্তরাঞ্চল  কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুরের চর এলাকার বন্যা-কবলিত এলাকাসমুহ পরিদর্শনকালে সোমবার তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বন্যা প্লাবিত মানুষের জন্য ত্রাণের অভাব নেই। তবে সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ দিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকার পরিকল্পিতভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে,যাতে প্রত্যেক মানুষ ত্রাণ সামগ্রী পায়।

মন্ত্রী বলেন, কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকবে।

সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ ফেরদৌস খান, স্থানীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন-কক্ষে সভায় মন্ত্রী বলেন, সরকার বন্যাপ্লাবিত জেলাসমূহে এ পর্যন্ত ৬১হাজার মেট্রিক টন চাল, নগদ ১ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৩৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করেছে। প্রয়োজনে আরো খাদ্যশস্য বরাদ্দ করবে।

তিনি বলেন, প্রতি জেলায় ঘণ্টায় ২ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন পানি বিশুদ্ধিকরণ মোবাইল গাড়ি ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।

সভায় মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের চাহিদা মত প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

একটি লোকও যাতে খাবারের কারণে কষ্ট না পায় সর্বাত্মকভাবে সে-চেষ্টা চালিয়ে যেতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনাও দেন মন্ত্রী।

জেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |